রোগীদের জিম্মি করা আইনের লঙ্ঘন
আপডেট: ০২:২০, জানুয়ারি ৩০, ২০১৬ |
‘রোগীদের জিম্মি করার অধিকার চিকিৎসকদের সংগঠন সংরক্ষণ করে না। চিকিৎসকেরা অপরাধ করলে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা চলবে না—এটি গোষ্ঠীগত দাম্ভিকতা। গোষ্ঠীগত স্বার্থে অপরাধীকে আড়াল করা যাবে না।’ চট্টগ্রামে রোগীর স্বজনদের করা দুটি মামলায় গত ২৫ ও ২৬ জানুয়ারি তিন চিকিৎসকের জামিন আবেদন মঞ্জুর করে দেওয়া আদেশের পর্যবেক্ষণে এসব কথা বলেন আদালত।
জামিন মঞ্জুরের দুটি আদেশেই মামলার সুষ্ঠু তদন্তে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়, এমন কোনো ধরনের অনৈতিক প্রভাব বিস্তার কিংবা চাপ প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকতে চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখাকে সতর্ক করেন আদালত। আদেশে বলা হয়, একটি পেশাজীবী সংগঠনের কার্যক্রম হওয়া উচিত তার পেশাকে আরও উন্নত করা এবং পেশাজীবী কেউ অপরাধ করলে সে বিষয়ে প্রতিকার করে পেশাকে আরও জনকল্যাণমুখী করার প্রচেষ্টা চালানো।
আদালত পর্যবেক্ষণে বলেন, এক-দুজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সব চিকিৎসককে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া এবং বেসরকারি হাসপাতাল বন্ধ করা চিকিৎসা পেশাকে লাঞ্ছিত করার শামিল বলে প্রতীয়মান হয়, যা গ্রহণযোগ্য নয়। চিকিৎসকসহ যেকোনো মানুষ ত্রুটি-বিচ্যুতির ঊর্ধ্বে নন।
আদালতের পর্যক্ষেণের বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় অধ্যাপক এম আর খান গতকাল রাতে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, রোগী সুরক্ষা ও চিকিৎসক সুরক্ষা আইন নিয়ে আলোচনা চলছে। এই আইন হয়ে গেলে ভুল–বোঝাবুঝিসহ অনেক সমস্যা কেটে যাবে।
জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহ-উপাচার্য অধ্যাপক রশীদ-ই-মাহবুব বলেন, ‘চিকিৎসা করা কোনো ক্রিমিনাল অফেন্স (ফৌজদারি অপরাধ) নয়। আদালতের এই পর্যবেক্ষণে আমরা ভীত।’
পর্যবেক্ষণে বলা হয়, চিকিৎসকেরা রাষ্ট্রীয় আইনের ঊর্ধ্বে নন। রোগীকে জিম্মি করে মানুষের বিচার পাওয়ার অধিকারকে অগ্রাহ্য করা রাষ্ট্রে বিদ্যমান আইনের অনেকগুলো ধারায় বিচার্য অপরাধ। এই কাজের সঙ্গে সংখ্যায় যত ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট থাকুক না কেন, কিংবা বাদীকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য প্রকাশ্যে সমাবেশ করে হুমকি প্রদানকারীর যত বড় পরিচয় থাকুক না কেন, তারা প্রত্যেকেই রাষ্ট্রের বিদ্যমান আইন লঙ্ঘনকারী অপরাধী।
আদালতের পর্যবেক্ষণের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি বিএমএ চট্টগ্রামের সভাপতি মুজিবুল হক খান। সাম্প্রতিক আন্দোলনের কর্মসূচির বিষয়ে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিরাপত্তার জন্য ব্যক্তিগত চেম্বার বন্ধ রেখে চিকিৎসকেরা কর্মসূচি পালন করেছিলেন। আমরা সব সময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কোনো চিকিৎসক অন্যায় করলে তদন্ত করে তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
‘অবহেলায়’ প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় দুই চিকিৎসক শামীমা সিদ্দিকী ও মাহাবুবুল আলম এবং অস্ত্রোপচারের সময় রোগীর পেটে ব্যান্ডেজ রেখে দেওয়ার অভিযোগে চিকিৎসক রানা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১৯ জানুয়ারি চট্টগ্রাম আদালতে দুটি মামলা হয়। মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ২০ জানুয়ারি থেকে নগরের বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগীদের সেবা দেওয়া বন্ধ করে দেন চিকিৎসকেরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে রোগী ও তাদের স্বজনেরা। ২৪ জানুয়ারি বিকেলে কর্মসূচি স্থগিত করেন চিকিৎসকেরা।
২৬ জানুয়ারি চিকিৎসক শামীমা সিদ্দিকী ও মাহাবুবুল আলম চট্টগ্রাম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান। এর আগের দিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন চিকিৎসক রানা চৌধুরী। চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মোহাম্মদ ফরিদ আলম তিন চিকিৎসকের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। দুই চিকিৎসকের জামিন মঞ্জুরের আদেশে আদালত প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা বিশেষ দল দিয়ে তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের পরিচালককে নির্দেশ দেন। অস্ত্রোপচারের পর মারা যাওয়া প্রসূতি মেহেরুন্নেছা প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলামের ভাতিজি।
নিহত মেহেরুন্নেছার বাবা ও মামলার বাদী খায়রুল বাশার প্রথম আলোকে বলেন, ‘মামলা করার পর অনেকেই মামলা তুলে নিতে চাপ দিলেও এখন কেউ চাপ দিচ্ছে না। চাপ দিলেও মামলা তুলবো না। যাদের অবেহলায় আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে, তাদের বিচার চাই। জন্মের পর মাকে হারানো নাতনীকে কী জবাব দিবো।’
পর্যবেক্ষণে বলা হয়, জীবন রক্ষাকারী মহান চিকিৎসা পেশাকে কতিপয় দুর্বৃত্ত জিম্মি করেছে। রাষ্ট্রে বিদ্যমান আইন যেকোনো অভিযুক্ত বা অপরাধীর জন্য সমান। কোনো পেশাজীবী ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যত শক্তিশালী হোক না কেন, রাষ্ট্রের বিদ্যমান আইনের ঊর্ধ্বে নন।
পর্যবেক্ষণে আদালত আরও বলেন, বিচারক, এমপি, মন্ত্রী, আইনজীবী, পুলিশসহ সব পেশার ব্যক্তি রাষ্ট্রের বিদ্যমান আইনের আওতাধীন। চিকিৎসকেরা সমাজের সব শ্রেণির ঊর্ধ্বে কোনো বিশেষ শ্রেণি নন। মামলা হলে শক্তিশালী বা দুর্বল যে কেউ আদালতে এসে জামিন চাইবেন, সঠিক তদন্ত হবে এবং ন্যায়বিচারের প্রত্যাশায় তৎপর হবেন। তা না করে মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দেওয়া, মেডিকেল বন্ধ করে দেওয়া রাষ্ট্রের বিদ্যমান আইনকেই অস্বীকার করা।
২৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সহকারী রেজিস্ট্রার রানা চৌধুরীর জামিন আদেশের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, সংগঠনের বেআইনি তৎপরতা দিয়ে জনগণের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির অধিকার রুদ্ধ করার প্রচেষ্টা বিদ্যমান আইনের পরিপন্থী। চিকিৎসা পেশার জন্ম হয়েছে রাষ্ট্রের জনগণের সেবার জন্য। জনগণকে জিম্মি করার জন্য নয়।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার জানা মতে বিগত ১০ বছরে চট্টগ্রাম আদালতে চিকিৎসক ও বিএমএ সর্ম্পকে কোনো আদেশ দেওয়া হয়নি। আদালত সম্প্রতি যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন তা চিকিৎসকদের জন্য শিক্ষণীয়। কারণ কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন। সবারই আইন মেনে চলা উচিত। আদালতের প্রতি সবার আস্থা থাকা দরকার।’
আপডেট: ০২:২০, জানুয়ারি ৩০, ২০১৬ |
‘রোগীদের জিম্মি করার অধিকার চিকিৎসকদের সংগঠন সংরক্ষণ করে না। চিকিৎসকেরা অপরাধ করলে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা চলবে না—এটি গোষ্ঠীগত দাম্ভিকতা। গোষ্ঠীগত স্বার্থে অপরাধীকে আড়াল করা যাবে না।’ চট্টগ্রামে রোগীর স্বজনদের করা দুটি মামলায় গত ২৫ ও ২৬ জানুয়ারি তিন চিকিৎসকের জামিন আবেদন মঞ্জুর করে দেওয়া আদেশের পর্যবেক্ষণে এসব কথা বলেন আদালত।
জামিন মঞ্জুরের দুটি আদেশেই মামলার সুষ্ঠু তদন্তে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়, এমন কোনো ধরনের অনৈতিক প্রভাব বিস্তার কিংবা চাপ প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকতে চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখাকে সতর্ক করেন আদালত। আদেশে বলা হয়, একটি পেশাজীবী সংগঠনের কার্যক্রম হওয়া উচিত তার পেশাকে আরও উন্নত করা এবং পেশাজীবী কেউ অপরাধ করলে সে বিষয়ে প্রতিকার করে পেশাকে আরও জনকল্যাণমুখী করার প্রচেষ্টা চালানো।
আদালত পর্যবেক্ষণে বলেন, এক-দুজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সব চিকিৎসককে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া এবং বেসরকারি হাসপাতাল বন্ধ করা চিকিৎসা পেশাকে লাঞ্ছিত করার শামিল বলে প্রতীয়মান হয়, যা গ্রহণযোগ্য নয়। চিকিৎসকসহ যেকোনো মানুষ ত্রুটি-বিচ্যুতির ঊর্ধ্বে নন।
আদালতের পর্যক্ষেণের বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় অধ্যাপক এম আর খান গতকাল রাতে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, রোগী সুরক্ষা ও চিকিৎসক সুরক্ষা আইন নিয়ে আলোচনা চলছে। এই আইন হয়ে গেলে ভুল–বোঝাবুঝিসহ অনেক সমস্যা কেটে যাবে।
জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহ-উপাচার্য অধ্যাপক রশীদ-ই-মাহবুব বলেন, ‘চিকিৎসা করা কোনো ক্রিমিনাল অফেন্স (ফৌজদারি অপরাধ) নয়। আদালতের এই পর্যবেক্ষণে আমরা ভীত।’
পর্যবেক্ষণে বলা হয়, চিকিৎসকেরা রাষ্ট্রীয় আইনের ঊর্ধ্বে নন। রোগীকে জিম্মি করে মানুষের বিচার পাওয়ার অধিকারকে অগ্রাহ্য করা রাষ্ট্রে বিদ্যমান আইনের অনেকগুলো ধারায় বিচার্য অপরাধ। এই কাজের সঙ্গে সংখ্যায় যত ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট থাকুক না কেন, কিংবা বাদীকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য প্রকাশ্যে সমাবেশ করে হুমকি প্রদানকারীর যত বড় পরিচয় থাকুক না কেন, তারা প্রত্যেকেই রাষ্ট্রের বিদ্যমান আইন লঙ্ঘনকারী অপরাধী।
আদালতের পর্যবেক্ষণের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি বিএমএ চট্টগ্রামের সভাপতি মুজিবুল হক খান। সাম্প্রতিক আন্দোলনের কর্মসূচির বিষয়ে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিরাপত্তার জন্য ব্যক্তিগত চেম্বার বন্ধ রেখে চিকিৎসকেরা কর্মসূচি পালন করেছিলেন। আমরা সব সময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কোনো চিকিৎসক অন্যায় করলে তদন্ত করে তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
‘অবহেলায়’ প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় দুই চিকিৎসক শামীমা সিদ্দিকী ও মাহাবুবুল আলম এবং অস্ত্রোপচারের সময় রোগীর পেটে ব্যান্ডেজ রেখে দেওয়ার অভিযোগে চিকিৎসক রানা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১৯ জানুয়ারি চট্টগ্রাম আদালতে দুটি মামলা হয়। মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ২০ জানুয়ারি থেকে নগরের বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগীদের সেবা দেওয়া বন্ধ করে দেন চিকিৎসকেরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে রোগী ও তাদের স্বজনেরা। ২৪ জানুয়ারি বিকেলে কর্মসূচি স্থগিত করেন চিকিৎসকেরা।
২৬ জানুয়ারি চিকিৎসক শামীমা সিদ্দিকী ও মাহাবুবুল আলম চট্টগ্রাম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান। এর আগের দিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন চিকিৎসক রানা চৌধুরী। চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মোহাম্মদ ফরিদ আলম তিন চিকিৎসকের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। দুই চিকিৎসকের জামিন মঞ্জুরের আদেশে আদালত প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা বিশেষ দল দিয়ে তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের পরিচালককে নির্দেশ দেন। অস্ত্রোপচারের পর মারা যাওয়া প্রসূতি মেহেরুন্নেছা প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলামের ভাতিজি।
নিহত মেহেরুন্নেছার বাবা ও মামলার বাদী খায়রুল বাশার প্রথম আলোকে বলেন, ‘মামলা করার পর অনেকেই মামলা তুলে নিতে চাপ দিলেও এখন কেউ চাপ দিচ্ছে না। চাপ দিলেও মামলা তুলবো না। যাদের অবেহলায় আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে, তাদের বিচার চাই। জন্মের পর মাকে হারানো নাতনীকে কী জবাব দিবো।’
পর্যবেক্ষণে বলা হয়, জীবন রক্ষাকারী মহান চিকিৎসা পেশাকে কতিপয় দুর্বৃত্ত জিম্মি করেছে। রাষ্ট্রে বিদ্যমান আইন যেকোনো অভিযুক্ত বা অপরাধীর জন্য সমান। কোনো পেশাজীবী ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যত শক্তিশালী হোক না কেন, রাষ্ট্রের বিদ্যমান আইনের ঊর্ধ্বে নন।
পর্যবেক্ষণে আদালত আরও বলেন, বিচারক, এমপি, মন্ত্রী, আইনজীবী, পুলিশসহ সব পেশার ব্যক্তি রাষ্ট্রের বিদ্যমান আইনের আওতাধীন। চিকিৎসকেরা সমাজের সব শ্রেণির ঊর্ধ্বে কোনো বিশেষ শ্রেণি নন। মামলা হলে শক্তিশালী বা দুর্বল যে কেউ আদালতে এসে জামিন চাইবেন, সঠিক তদন্ত হবে এবং ন্যায়বিচারের প্রত্যাশায় তৎপর হবেন। তা না করে মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দেওয়া, মেডিকেল বন্ধ করে দেওয়া রাষ্ট্রের বিদ্যমান আইনকেই অস্বীকার করা।
২৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সহকারী রেজিস্ট্রার রানা চৌধুরীর জামিন আদেশের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, সংগঠনের বেআইনি তৎপরতা দিয়ে জনগণের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির অধিকার রুদ্ধ করার প্রচেষ্টা বিদ্যমান আইনের পরিপন্থী। চিকিৎসা পেশার জন্ম হয়েছে রাষ্ট্রের জনগণের সেবার জন্য। জনগণকে জিম্মি করার জন্য নয়।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার জানা মতে বিগত ১০ বছরে চট্টগ্রাম আদালতে চিকিৎসক ও বিএমএ সর্ম্পকে কোনো আদেশ দেওয়া হয়নি। আদালত সম্প্রতি যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন তা চিকিৎসকদের জন্য শিক্ষণীয়। কারণ কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন। সবারই আইন মেনে চলা উচিত। আদালতের প্রতি সবার আস্থা থাকা দরকার।’
No comments:
Post a Comment