Sunday, 31 January 2016

মেঘনায় ট্রলারডুবি

মেঘনায় ট্রলারডুবি

৫ দিন পর ভাসল এক শিশুর লাশ
আপডেট: ১৫:১৭, জানুয়ারি ৩১, ২০১৬

ঘটনার পরপরই নিখোঁজদের খোঁজে হাইমচরের তেলিরমোড় ঘাটে ​​ভিড় করেন স্বজনেরা। ছবি: প্রথম আলোচাঁদপুরে মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির পাঁচ দিন পর আজ রোববার সকালে ভেসে উঠল নিখোঁজদের মধ্যে এক শিশুর লাশ। লাশটি বরিশালের হিজলা এলাকায় এক জেলের জালে আটকা পড়ে। শিশুটির নাম ফাহিম হোসেন। তার বয়স দেড় বছর। পরে চাঁদপুরের হাইমচর থানার পুলিশের একটি দল গিয়ে লাশ নিয়ে আসে।
ফাহিম হাইমচর উপজেলার উত্তর চরবগুলা এলাকার জামাল হোসেন লিটন ও শ্যামলীর একমাত্র ছেলে।
ট্রলারডুবির ঘটনায় এখনো নিখোঁজ নার্গিস (২৮) ও তাঁর ছেলে শাহজাদা (৬), আলেয়া বেগমে (২৫) ও তাঁর দুই সন্তান সিয়াম (৬) ও স্বর্ণা (৩); রতন (২) ও তার ভাই মানিক (৪) এবং আহমদ উল্লা (৪৪)। এদের সবার বাড়ি হাইমচরের বিভিন্ন এলাকায়।
হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালি উল্লা জানান, আজ সকাল ৬টায় ওই শিশুর লাশ হিজলা এলাকার এক জেলের জালে ধরা পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি পুলিশকে জানালে লাশ উদ্ধার করে চাঁদপুর নিয়ে আসা হয়। ​শিশুটির গায়ে সোয়েটার ও গলায় থাকা চে​ইন দেখে পুলিশ প্রাথমিকভাবে তার পরিচয় শনাক্ত করে ও তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়।
নিহত শিশু ফাহিমের বাবা জামাল হোসেন ঘটনার পরপরই জানিয়েছিলেন, গত মঙ্গলবার সকালে তাঁর নানা শ্বশুর মারা যায়। ওই সংবাদ শুনে ওই দিনই সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাঁরা ‘এমভি রবিন’ নামের ট্রলারে করে হাইমচরের তেলিরমোড় থেকে ঈশানবালায় যাচ্ছিলেন। এ সময় নদীতে ঘনকুয়াশা ছিল। সকাল ১০টায় ট্রলারটি মেঘনা নদীর মাঝখানে তেলবাহী ট্যাংকারের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে অর্ধশত যাত্রী নিয়ে নদীতে ডুবে যায়।
এদিকে ওই দিন এ দুর্ঘটনার প্রায় চার ঘণ্টা পর দমকল বাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ ও পরদিন বুধবার নৌ-বাহিনীর একটি ইউনিট উদ্ধারকাজে নামে। বৃহস্পতিবার বিকেলে নৌবাহিনী আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি শনাক্ত করলেও এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এটি উঠানো হয়নি। দুর্ঘটনার পর বেশির ভাগ যাত্রী জেলেদের সহায়তায় প্রাণে বাঁচলেও নিখোঁজ থাকে নয়জন। এদের মধ্যে আজ এক শিশুর লাশ পাওয়া গেল।
হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম সারওয়ার কামাল বলেন, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শিশুর লাশটি আমরা ময়নাতদন্ত ছাড়া​ই তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। এ সময় জেলা প্রশাসকের তহবিল থেকে দাফন কাজের জন্য নগদ ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।

No comments:

Post a Comment

Registration Form Applicant Name Father's Name Mother's Name Dob ...